7:05 pm , July 5, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিকেল সাড়ে পাঁচটা। নগরীর বগুড়া রোড হিরো হোন্ডা মোটর সাইকেল শো-রুম অতিক্রমকালে রিক্সা চালক ও অরোহী চিৎকার করছে মাছ যায়, মাছ যায়। বিষয়টি মজা ভেবে অনেকেই বিষয়টির পাত্তা দেয়নি। বোকা হতে হবে ভেবে রাস্তায় হাটু অবধি পানি থেকে ড্রেনের লাফিয়ে উঠা মাছের দিকে কাছাকাঠি থাকা অনেক পথচারীরা নজরও দেননি। কিন্তু ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর জাহিদুল কবিরের অফিস সহকারী মো. লিটন রিক্সা চালক ও অরোহীদের ডাকে সাড়া দিয়ে তাদের দেখানো স্থানে তাকিয়ে দেখতে পান ফুটপাতের উপর মাঝারী সাইজের একটি শৌল মাছ একে বেকে যাচ্ছে। দৌড়ে গিয়ে তিনি মাছটি ধরে ফেলেছেন। শুধু বগুড়া রোডেই নয়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের বৃষ্টিপাতের পর নগরীর প্রায় সিংহভাগ এলাকার রাস্তায় ও ড্রেনে চলছে মাছ শিকারের উৎসব। সৌখিন মাছ শিকারী নগরবাসীরা জালসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নিয়ে রাস্তায় ও ড্রেনে নেমে পড়েছেন মাছ শিকারে। মাত্র পৌনে এক ঘন্টার মিনিটের বর্ষনে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসহ সিংগভাগ এলাকায় হাটু পরিমান পানিতে ডুবে যাওয়ায় মাছ শিকারের ওই উৎসব হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস’র জেষ্ঠ্য পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস জানায়, বিকেল চারটা দশ মিনিট থেকে ভারী বর্ষন শুরু হয়। মাত্র ২০ মিনিটের ভারী বর্ষনসহ পৌনে এক ঘন্টায় ২০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়। বুধবার রাত ৯টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত হয় মোট ২১ মিলি মিটার। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ ধারা আরো অব্যাহত থাকবে। তবে গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিকেল চারটার পর বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে, বিকেলের ওই পৌনে এক ঘন্টার বৃষ্টিপাতে নাকাল হয়েছে নগরবাসী। নগরীর সদর রোড থেকে শুরু করে, আগরপুর রোড, বগুড়া রোড, বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে, ভাটিখানা, নিউ ভাটিখানা, বটতলা রোডসহ নগরীর সিংহভাগ সড়কে হাটু পানি জমে যায়। ড্রেন দিয়ে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় দুই থেকে তিনঘন্টা পানির নিচে ছিল সড়কগুলো। এতে পথচারীসহ যানাবাহন চালকরা ভোগান্তিতে পড়েন। ড্রেনের ময়লা আবর্জনা রাস্তায় উঠে নোংরা পানির উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়েছে পথচারী ও নগরবাসীদের। এ নিয়ে নগরবাসীর নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাটু পানির নিচের সড়ক’র চিত্র দিয়েও প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নগরবাসী। জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী করাসহ পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিক্রিয়ার ফুলঝুড়ি ছুটিয়েছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।