২৪নং ওয়ার্ডে সুষ্ঠু ভোট হলে বিজয়ের শতভাগ আশাবাদী পাঁচ প্রার্থী ২৪নং ওয়ার্ডে সুষ্ঠু ভোট হলে বিজয়ের শতভাগ আশাবাদী পাঁচ প্রার্থী - ajkerparibartan.com
২৪নং ওয়ার্ডে সুষ্ঠু ভোট হলে বিজয়ের শতভাগ আশাবাদী পাঁচ প্রার্থী

6:46 pm , July 4, 2018

রুবেল খান ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের একটি জনবহুল এলাকার নাম ২৪ নং ওয়ার্ড। এখানে মানুষের বসবাস যেমন বেশি তেমন সমস্যারও অন্ত নেই। যার মধ্যে সীমাহীন জলাবদ্ধতা আর মাদকের ভয়াবহতা প্রকাশ পাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। তাই এবারের নির্বাচনে এই দুটি সমস্যাকে চিহ্নিত করেই কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন ৫ কাউন্সিলর প্রার্থী। যার মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত এবং ইসলামী আন্দোলন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। এরাই সবাই উন্নয়নের মাধ্যমে মডেল ওয়ার্ড গড়ার শ্লোগান দিয়ে করছেন প্রচার প্রচারনা। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করছেন বর্তমান কাউন্সিলর এবং সরকার দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তার মধ্যেই সুষ্ঠু ভোট হলে বিজয়ের ক্ষেত্রে শতভাগ আশাবাদী স্ব স্ব প্রার্থী।

সরেজমিনে জানা গেছে, এই প্রথম বারের মত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডে চারটি দলের সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বিসিসি’র অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা। এখন পর্যন্ত প্রার্থী হিসেবে যারা মাঠে রয়েছেন তারা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. ফিরোজ আহমেদ, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শরীফ মো. আনিছুর রহমান, জামায়াত ইসলামী’র প্রার্থী মো. আব্দুল বারেক হাওলাদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী মো জাকির হোসেন কাফরা ও বিসিসি’র স্বাস্থ্য বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সেনেটেরী ইন্সপেক্টর মো. জাহাঙ্গীর মোল্লা।

এদের মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি। বরিশাল সিটি ঘোষনার পূর্বে ১৯৮০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তৎকালিন ইউপি সদস্য ছিলেন। এর পর ২০০৩ সালে সিটি কর্পোরেশনের প্রথম কাউন্সিলর ছিলেন ফিরোজ আহমেদ। দ্বিতীয় পরিষদে নির্বাচন না করলেও তৃতীয় পরিষদ অর্থাৎ ২০১৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মঈনুদ্দিন খান আয়ুবকে ১ হাজার ৯৩৪ ভোটে পরাজিত করে পুনরায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ওই সময় ওয়ার্ডটিতে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিলো ৪ জন।

আলাপকালে মো. ফিরোজ আহমেদ বলেন, আমি দায়িত্বে থাকালিন সময়ে ২৪নং ওয়ার্ডটিতে যে উন্নয়ন করেছি তা অন্য কোন ওয়ার্ডে হয়নি। আমি আমার যোগ্যতায় ওয়ার্ডটিতে প্রায় ২০ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। যার মধ্যে রয়েছে প্রায় ১২/১৩ কিলোমিটার সড়ক, দেড় কিলোমিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন। যার মধ্যে দুটি সড়ক রয়েছে যা সম্পূর্ন নতুন করে নির্মান করেছি। এতে ওয়ার্ডবাসির সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।

তিনি বলেন, ওয়ার্ডটিতে এখনো ৩৪টি উন্নয়নমুলক কাজের টেন্ডার কার্যক্রম শেষ হয়ে আছে। যার মধ্যে রয়েছে ১০টি সড়ক এবং দেড় কিলোমিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ। কিন্তু ঠিকাদারের কারনে ওইসব উন্নয়ন কাজ শুরু হচ্ছে না। ওই কাজগুলো সম্পন্ন হলে ২৪নং ওয়ার্ডের সড়ক, ড্রেনেজ এবং জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশে দুর হবে।

অবশ্য সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে ওয়ার্ডটির বেহাল দশার চিত্র। বিশেষ করে রূপাতলী হাউজিং এলাকার ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা মেলে জলাবদ্ধতা। গুরুত্বপূর্ন এই এলাকাটির অধিকাংশ রাস্তার অবস্থা নাজুক এবং জলাবদ্ধতা হাটু সমান। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাগুলো। অবশ্য ধানগবেষনা সড়কটির চেহারা পূর্বের থেকে উন্নতি হয়েছে। পাকার মাথা থেকে অভ্যন্তরিন সড়ক হয়ে গ্যাসটারবাইনের সামনে বের হওয়া যাচ্ছে অনায়াসে। তবে রাস্তার আশ পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা আর কাদাপানির নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে বসবাসকারিদের। তাছাড়া ওয়ার্ডটির গুরুত্বপূর্ন ধানগবেষনা সড়কটিতে ইট ভাটার ট্রাক চলাচলকে আরো একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এসমস্যার দায়ভার বর্তমান কাউন্সিলরের ঘরেই চাপাচ্ছেন সাধারণ ওয়ার্ডবাসি।

অবশ্য জলাবদ্ধতা সমস্যার বিষয়টিতে একমত প্রকাশ করেছেন বর্তমান কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ। তিনি বলেন, এই সমস্যা সমাধান হবে। তবে সেটা সময়ের ব্যাপার, একটি বিদেশী সংস্থা জলবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও খাল খননের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছেন। ওই বরাদ্দের কাজ শুরু হলে শুধু ২৪ নাম্বার নয় বরং মহানগরী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।

ভোটের বিষয়ে বর্তমান এই কাউন্সিলর বলেন, আমি বিরোধী দলের নেতা। যে কারনে হামলা-মামলা মাথায় নিয়ে গত বছর গুলো কাটাতে হয়েছে। তার মধ্যেও জনগনের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। একজন কাউন্সিলর হিসেবে জনগনের সেবা করার যে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আমি মনে করি তা আমার রয়েছে। যে কারনে জনগন আমাকে পুনরায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। আমার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার সুযোগ দিবেন।

ভোটের পরিস্থিতি বিষয়ে অভিযোগ তুলে বলেন, ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকলে নির্বাচন হয় না। তবে সেই প্রতিদ্বন্দ্বি যদি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পদে পদে বাঁধা সৃষ্টি করে সেটা দুঃখজনক। এরই মধ্যে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তিনি আমার বিরুদ্ধে হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু যে মামলার বিষয়ে তিনি অভিযোগ তুলেছেন সেটা কোন ফৌজদারী মামলা নয়। তাছাড়া সেই মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি। তার পরেও আমার প্রার্থীতা বাতিলের জন্য বিভাগীয় কমিশনারের নিকট দাবী জানিয়েছে। তাছাড়া ওয়ার্ডের ভোটের সুষ্ঠুতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে এই প্রার্থী বলেন, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ন ভোট হলে আমার বিজয় নিশ্চিৎ।

এদিকে বর্তমান কাউন্সিলর এবং বিএনপি প্রার্থীর উন্নয়ন এবং বক্তব্য হাস্যকর ও অযৌক্তিক বলে দাবী করেছেন সরকার দল আওয়ামী লীগ প্রার্থী শরীফ মো. আনিছুর রহমান। যিনি ২০০৩ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বর্তমান কাউন্সিলরের কাছে পরাজিত হন। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বরিশাল জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি শরীফ মো. আনিছুর রহমান বলেন, বর্তমান কাউন্সিলর ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তিনি ওয়ার্ডটিতে কোন উন্নয়নই করেনি। ওয়ার্ডটিতে গত পাঁচ বছরে ২ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে তার প্রমান দেখাতে পারবে না কেউ। তিনি উন্নয়ন করেননি। বরং বলে বেরিয়েছে আমি বিরোধী দলের নেতা। তাই সরকার আমাদের বরাদ্দ দিচ্ছে না। যে কারনে উন্নয়নও হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ২০ কোটি টাকার উন্নয়ন এই ওয়ার্ডটিতে হয়ে থাকলে এখানকার মানুষ ভালোভাবেই বসবাস করতে পারতো। কোথাও জলাবদ্ধতা থাকতো না। তাছাড়া ওয়ার্ডটিতে মাদকের ভয়াবহতা রয়েছে। যার পেছনে বর্তমান কাউন্সিলরের যোগ সাজস রয়েছে বলে আমি মনে করি। তাছাড়া সে একজন হত্যাকারী। ১২টি ফৌজধারী মামলার আসামী তিনি। কিন্ত মামলার সেই তথ্য হলফনামায় গোপন করেছে। ওয়ার্ডটিতে ৫টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। যার ইন্দনদাতা বর্তমান কাউন্সিলর। এমনকি বর্তমান কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় পুলিশের দালালী করার অভিযোগও তুলেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরীফ মো. আনিছুর রহমান।

তিনি বলেন, বর্তমান কাউন্সিলরের বিজয়ের পেছনে তার নিজ এলাকা অর্থাৎ লালা দিঘির পাড়ের ভোট কেন্দ্রটিই কাজ করছে। ওই কেন্দ্রের বাইরে প্রতিবার নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে ভেতরে তারা সিল পেটায়। এবার আবার ঘরের মধ্যে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তা প্রতিরোধ করেছি। সব মিলিয়ে বর্তমান কাউন্সিলরের অবস্থা খুবই করুন। যে কারনে তিনি কাউন্সিলর হতে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী লীগের অভিভাবক জননেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ তাকে দলে নেননি।

আনিছ শরীফ বলেন, শিশু এবং বাল্যকাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৪নং ওয়ার্ডেই বসবাস করে আসছি। এখানের মানুষ আমার পরম আপন। জনপ্রতিনিধি না হলেও ইতিপূর্বে এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। তাদের সাহায্য সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছি। সকল ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও উন্নয়নমুখী কার্যক্রমে অংশ নিয়েছি লাভ লোকসানের হিসাব ছাড়া। তাই আমার বিশ্বাস জনগন আমাকে ফেরাবে না। অবশ্যই তারা আমাকে সুযোগ দিবে। আমি নির্বাচিত হতে পারলে ওয়ার্ডটিকে জলাবদ্ধতা নিরসন ও মাদক মুক্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তুলব।

অপরদিকে এই ওয়ার্ডে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ’র প্রার্থী মো. আবদুল বারেক হাওলাদার। তিনি মহানগর জামায়াতের রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটির সাবেক সভাপতি। তার বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আমলে হয়েছে অসংখ্য মামলা। ৩৬ বার গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। সিটি নির্বাচনে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পূর্বে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ১৯৯৬ সালে নাছিম বিশ্বাস এর সাথে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় হন। নির্বাচিত না হতে পারলেও ওই নির্বাচনের পর থেকেই আব্দুল বারেক হাওলাদার বারেক এমপি নামেই পরিচিতি পান।

আলাপকালে আব্দুল বারেক হাওলাদার বলেন, ইতিপূর্বে এমপি নির্বাচন করেছি ঠিকই কিন্তু এখন কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছি। কারন দল থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেহেতু জামায়াত ইসলাম সংগঠন করি সেহেতু দলের সিদ্ধান্ত মানতেই হবে। তাছাড়া নির্বাচনের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী জানিয়ে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি না হয়েও সব সময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। স্কুল, মাদ্রাসার উন্নয়ন করেছি। সমাজ উন্নয়নে কাজ করেছি। এজন্য নির্বাচনে ওয়ার্ডবাসির কাছ থেকে অনেক সাড়া পেয়েছি। আমি নির্বাচিত হতে পারলে জনগনের সুবিধার জন্য ন্যায়-ইনসাব বান্ধব সমাজ গড়ে তুলবো। মাদক এবং জলাবদ্ধতা দুর করা হবে নির্বাচন পরবর্তী আমার প্রধান কাজ।

এবারের নির্বাচনে ২৪নং ওয়ার্ডে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাগরদী কাফরা বাড়ির বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন কাফরা। ইতিপূর্বে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা না থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্তের কারনে এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। তার নির্বাচনে প্রধান শক্তি হিসেবে দেখছেন ওয়ার্ডের ১২ হাজার ৩৬৬ ভোটের মধ্যে প্রায় দুই হাজার দলীয় ভোট। এর বাইরে সাধারণ মানুষের ভোটের বিষয়ে আশাবাদী তিনি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন কাফরা বলেন, বর্তমান সমাজের মানুষ তাদের ভুল বুঝতে শুরু করেছে। তারা দুনীয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে ইসলাম দিকে ঝুকতে শুরু করেছি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলাম প্রতিষ্ঠার লড়াই করছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতাও সেই আন্দোলনের একটি অংশ। আমার বিশ্বাস এলাকার ভোটাররাও দিন ও ইসলামের পথ বেছে নিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সব সময় সমাজ ব্যবস্থা এবং মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছি। মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছি ইসলাম প্রচারের জন্য। দান-সওগাদ দিয়ে থাকি। মানুষের আপদে-বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। কোন মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করিনি। তাছাড়া মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। তারা উন্নয়ন চায়। জনগনের সেই চাওয়া থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জানিয়ে মো. জাকির হোসেন বলেন, ওয়ার্ডে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আশংকা রয়েছে। গাজীপুর এবং খুলনায় যে নির্বাচন হয়েছে তাতে বরিশালে ভোটের সুষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাছাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের যে প্রার্থী দেয়া হয়েছে তার এবং ক্ষমতাসিন দলের আচারনবিধি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই প্রার্থী।

এদিকে দল মতের উর্ধ্বে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিসিসি’র সাবেক সেনেটারী ইন্সপেক্টর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা। ২০১৬ সালের ফেব্র”য়ারী মাসে বিসিসি’র স্বাস্থ্য বিভাগের ওই পদটি থেকে পদত্যাগ করেন। কর্মক্ষেত্রে থাকাবস্থাতেও সিটি কর্পোরেশন ভিত্তিক ওয়ার্ডবাসির সুষ্ঠু সেবা নিশ্চিত করনের বিষয়ে কাজ করেন তিনি।

জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর কর্মজীবন পার করেছি। তখনও এলাকা থেকে যে মানুষই আমার কাছে এসেছে কেউ খালি হাতে ফেরেনি। সবাইকেই সাধ্যমত সহযোগিতা করেছি। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি।

তিনি বলেন, বর্তমান কাউন্সিলরের অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনার কারনে মানুষ অতিষ্ঠ। যে কারনে তারা পরিবর্তনের বিষয়ে আশাবাদী। ওয়ার্ডের মুরুব্বীরা আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বলেছেন। আমি পরিবারের সাথে আলোচনা করার পরেই নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।=

তিনি আরো বলেন, ওয়ার্ডে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে রূপাতলী হাউজিং এর চিত্র খুবই করুন। এখানকার মানুষ জুতা পায়ে দিয়ে ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। আর ঘর থেকে বের হতে হলেও জলাবদ্ধতার কারনে জুতা হাতে নিয়ে হাটতে হয়। তাছাড়া ওয়ার্ডটি মাদকের নিরাপদ ঘাটিতে পরিনত হয়েছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধিভাতা সুষ্ঠু ভাবে বন্টন হচ্ছে না। স্বজন প্রীতি করা হচ্ছে তালিকা তৈরীর ক্ষেত্রে। যে কারনে ওয়ার্ডবাসি পরিবর্তন চাচ্ছে। আশাকারী সুষ্ঠু ভোট হলে এবং জনগন আমার পাশে থাকলে অবশ্যই আমি বিজয়ী হব। আর বিজয়ী হলে আমার প্রথম কাজই হবে ২৪নং ওয়ার্ডকে জলাবদ্ধা ও মাদক মুক্ত করে একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT