আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু না হলেও প্রার্থীরা রয়েছেন ভোটারদের দ্বারে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু না হলেও প্রার্থীরা রয়েছেন ভোটারদের দ্বারে - ajkerparibartan.com
আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু না হলেও প্রার্থীরা রয়েছেন ভোটারদের দ্বারে

7:35 pm , July 2, 2018

জুবায়ের হোসেন ॥ উন্নয়নের অঙ্গিকার নিয়ে ভোটারদের দ্বারে ঘুরে ব্যস্ত সময় পার করেছেন নগরীর ৩০ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারনা শুরু না হলেও সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের ভোট ও দোয়া প্রার্থনা। সাবেক ও বর্তমানরা তাদের বিগত দিনের ভুল ত্রুটির মার্জনা চেয়ে ভবিষ্যতে উন্নয়নের জোয়ার আনার অঙ্গিকার করছেন তারা। অপরদিকে নতুন প্রার্থীরা একবারের জন্য সুযোগ চাইছেন। বিগত ৫ বছরে তাদের আচরন ভিন্ন থাকলেও এখন তারা আবার জনগনের প্রতিনিধির রুপে এসেছেন বলে ভোটারদের দাবি। ভোটারদের পাশে গিয়ে নতুন ভাবে প্রতিনিধির চেয়ারটি নিশ্চিত করতে চেষ্টার কমতি নেই তাদের। তাদের সেবা এখন এতটাই বিশদ যে এক ওয়ার্ডের প্রার্থীর সেবা পাচ্ছেন পার্শবর্তী ওয়ার্ডের ভোটাররাও। শুধু তারাই নয় তাদের হয়ে ভোটার সেবায় ব্যস্ত তাদের কর্মী সমর্থক ও আত্বীয় স্বজনরা। দলীয় প্রার্থীরা দলের নির্দেশনা মেনেই প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে প্রত্যেক ভোটারের দ্বারে দ্বারে চলে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত, দিচ্ছেন সাধ্য মতো সকল সুযোগ সুবিধা। অন্যদিকে খুব কম সময়ের জন্য হলেও এই সুবিধাগুলো প্রত্যেক ওয়ার্ডের এক শ্রেনীর ভোটাররা বেশ ভালই লুফে নিচ্ছেন। ভোটার হিসেবে বেশ ভাবেই কাটছে তাদের দিন। তবে সেবার যাতাকলে পরে পিষ্ঠ হচ্ছেন অতি সাধারন এক শ্রেণীর ভোটাররা। এমনটাই হয়ে থাকে নির্বাচনি পরিবেশ বলে প্রার্থীরা জানিয়েছেন আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুর হওয়ার আগ পর্যন্ত এমন ভাবেই চলবে নির্বাচনী কার্যক্রম। এই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক রুপ পাবে আগামী ১২ জুনের পর থেকে বলে জানিয়েছেন তারা। ১০ জুলাই পাওয়া যাবে প্রতীক। বরিশাল সিটি নির্বাচনের আর মাত্র ২৭ দিন বাকি। নগরীর ৩০ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও ভোটারদের সাথে নির্বাচনী আলাপে জানা গেছে এমন বিষয়গুলো।

নির্বাচন অফিসের সূত্র মতে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০ টি ওয়ার্ডে মোট সাধারন কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন সাবেক বর্তমান ও নতুন মিলিয়ে মোট ১১৪ জন প্রার্থী। সংরক্ষীত ১০ কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন মোট ৩৮ জন। এদের মধ্যে ২৮ জুন মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে জমা দিয়েছেন মোট ১৫২ জন। ১ জুলাই ও গতকাল এই মনোনয়ন পত্র জাচাই বাছাই করা হয়েছে। আগামী ১০ জুলাই প্রার্থীদের মার্কা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন অফিস সূত্র। ১২ জুলাই থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারনা।

তবে মাঠ প্রর্যায়ে কাউন্সিলর প্রার্থীরা চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ভোটারদের বাসগৃহে উপস্থিত হয়ে এই প্রচারনা চালিয়ে আসছেন ঈদের আগ থেকে। নির্বাচন যতই এগুচ্ছে তাদের প্রচারনা ততই বাড়ছে। একই সাথে জোরালো হচ্ছে তাদের উন্নয়নের সাবেক আশ্বাষ নতুন করে। ভোটারদের ডাকে শুদু তারাই নয় এখন বিদ্যুৎ গতিতে ছুঠে আসছেন তাদের কর্মি সমর্থকরাও। নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের একাধিক সাধারন ভোটারদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, গত ৫ বছরের যাদের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট কাজ এর জন্য ধন্যা দিতে হয়েছে এখন সেই প্রার্থীরা আসছেন তাদের দার প্রান্তে। দল, সেবা আর অঙিগকার দিয়ে তারা বলছেন নানা আশার বানী। সাবেক ও বর্তমানরা বিগত দিনের ভুল গুলোর জন্য ক্ষমা চেয়ে ভাঙ্গিয়ে নিচ্ছেন মান অভিমান। নব্যরা বলছেন জন প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে বর্তমানদের ভুল গুলোকে নিজেদেরে মধ্যে স্থান না দিয়ে কাজ করবেন সাধারনদের হয়ে। পাশে থাকবেন সাধারন সকল ভোটারদের। প্রত্যেকেই দিচ্ছেন সকল নাগরীক সুবিধাগুলো সবার আগে নিশ্চিত করার ওয়াদা। তাদের চাহিদা একবার নির্বাচিত হয়ে প্রতিনিধির আসনে বসা। প্রার্থীরা এখন ভোটারদের খুশি করতে কাজ করছেন প্রতিযোগী প্রার্থীদের সাথে পাল্লা দিয়ে। ২/৩ বছর আগের ঝুলন্ত সকল কাজ গুলো এখন কেন জানি চোখের নিমিশেই সমাধান হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। দলীয় ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা বলছেন দলের হয়ে তাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেবেন। অন্যদিকে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলছেন তারা দেবেন ব্যাক্তিগত ভাবেই সকল সুযোগ সুবিধা। কাজ করবেন মাদক, ঈভটিজিং, বাল্য বিবাহ সহ নান সমস্যার বিরুদ্ধে। অনেক ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই প্রার্থীদের দায়িত্ব নিয়ে সমস্যা সমাধানে গায়ে খেটে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে পুরো দমে। নিজেদের ওয়ার্ডে কাজে অলসতা দেখানো প্রার্থীদের কাজের সুবিধা এখন পাচ্ছে একই সাথে পাশের ওয়ার্ডের ভোটাররা বলেও জানিয়েছেন তারা। নতমস্তকে তাদের একটাই দাবী আগামী ৩০ জুলাই নির্বাচনে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা।

এমন বিষয় গুলোতে কথা বলা হয়েছে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাথে। প্রায় একই রকমের অশ্বাসের সুরে তারা জানিয়েছেন,

৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্রার্থী হাবিবুর রহমান টিপু বলেন, গত ৫ বছরে তার ওয়ার্ডে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অন্য কোন কাউন্সিলর করে দেখাতে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে কসাইখানা মার্কেট ও সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে হাটখোলায় আরও একটি মার্কেট। তিনি বলেন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য সাধ্য মতো কাজ করার চেষ্ঠা করেছেন তিনি। নির্বাচিত হতে পারলে ওয়ার্ডের সকল সমস্য নিয়ে কাজ করে যাবেন।

১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্রার্থী মেহেদী পারভেজ খান আবীর জানান, ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য সাধ্য মতো সব কাজ করার চেস্টা করেছেন তিনি। বর্তমান মেয়র আহসান হাবিব কামালের কাছ থেকে যে টুকু সম্বভ সুবিধা তিনি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের এনে দেয়ার চেস্টা করেছেন। ওয়ার্ডের আভ্যন্তরিন প্রায় সকল পথঘাট এর উন্নয়ন করার চেস্টা করেছেন। ভোটারদের পাশে থাকার চেস্টা করেছেন সব সময়। ওয়ার্ডের ভোটারদের বয়স্ক ভাতা, পঙ্গু ভাতা সংক্রান্ত কাজ গুলো নিজ উদ্যোগে করে দিয়েছেন বিবিধ কোন খরচ ছারা। এছারা ওয়ার্ডের মধ্যে বিবিসি থেকে দেয়া টিউবঅয়েল স্থাপন করেছেন। বেশ কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে যা সামনে তিনি সম্পন্ন করবেন বলে জানিয়েছেন। দলের প্রার্থী হিসেবে দলের নির্দেশনা মোতাবেক তিন তার নির্বাটনি কাজ চারিয়ে যাচ্চেন বলে জানান। তার ঈচ্ছা ওয়ার্ডের যুব সমাজকে সাথে নিয়ে মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করে জাবেন। বর্তমানে ভোটারদের সাথে অনানুষ্ঠানিক ভাবে যোগাযোগ করছেন। আগামী ১২ জুলাই এর পর থেকে দলের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচনি বিধান মেনে প্রচারনায় নামবেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT