6:47 pm , July 1, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সুপ্রীম কোট, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তরের নির্দেশনার পরে বেতন-ভাতা না দেয়ায় আমরন অনশন শুরু করেছে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনী কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ’র ব্যানারে কর্মসূচী পালন করে। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ২১২ কর্মচারীর এই কর্মসূচীর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে অংশ নিয়েছে হাসপাতালের পুরাতন কর্মচারী ও সরকারি চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারী সমিতির বরিশাল জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। এদিকে কর্মচারীদের কর্মবিরতী ও আমরণ অনশনের কারনে সকাল থেকেই হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা ব্যহত হয়। পরিছন্ন কর্মিরা কাজ না করায় হাসপাতালের সর্বত্র দুগন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর শেবাচিম হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর বিভিন্ন পদে ২১৫ জন কর্মচারী যোগদান করেন। ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারী স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় কর্মচারীদের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। কর্মচারীরা উচ্চাদালতের রীট করে। ওই বছরের ২২ আগষ্ট উচ্চাদালত কর্মচারীদের পক্ষে রায় দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রীম কোর্টে আপীল করলে খারিজ করে দেয়া হয়। চলতি বছেরর ৬ ফেব্রুয়ারী ওই রায় বাস্তবায়নের জন্য পরিচালকে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের ডিজি। আদেশটি পেয়ে পরিচালক ২৪ ফেব্রুয়ারী কর্মচারীদের বিভিন্ন দপ্তরে কার্যাদেশ প্রদান করেন। পরবর্তিতে পরিচালককে গত ৪ এপ্রিল যোগদানকৃত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি। এমনকি মামলা চলাকালীণ সময়ের ৩০ মাস কর্মচারীদের স্থগিত সময় কর্মকাল হিসেবে গন্য করে উক্ত সময়ের কর্মচারীরা বেতন ভাতা পাবেন বলে দাবী করে জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার নিকট নিদের্শনা (জিও) প্রেরণ করেছেন পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন। ওই নির্দেশনার আলোকে জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা প্রত্যেক কর্মচারীর যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। সকল প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলেও অদৃশ্য ও রহস্য জনক কারনে পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বেতন-ভাত প্রদান করছেন না। এদিকে গত চার মাস পূর্ব থেকে কাজে যোগদানের পরও বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় ২১২ কর্মচারী পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এ ব্যপারে পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে কর্মচারীরা হাসপাতালের বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করে আসছেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাদের বেতন ভাতা প্রদান করা হয় নি। সর্বশেষ কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য মতামত চেয়ে ফের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির জবাব পেলে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।