6:11 pm , June 29, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন করন ও নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিং এর জন্য পৃথক দুটি কমিটি করা হয়েছে। একটি কমিটিতে বিভাগীয় কমিশনার এবং অপরটিতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’র চলতি দায়িত্বে উপ-সচিব মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি চিঠির সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারকে আহ্বায়ক ও জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে সদস্য সচিব করে গঠিত ১৩ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটিতে উল্লেখ করা হয়েছে আগামী ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য রিটার্নিং অফিসারকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হল।
এই কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, বিজিবি’র একজন সেক্টর কমান্ডার, স্থানীয় সরকার পরিচালক, ডিজিএফআই’র কর্ণেল-জিএস, বরিশাল জেলা প্রশাসক, বরিশালের পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার, র্যাব-৮ এর অধিনায়ক, আনসার ও ভিডিপি’র পরিচালক এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার যুগ্ম পরিচালককে।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম মনিটরিং, বিরুপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে বা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তাৎক্ষনিকভাবে তা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহন ও নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা, নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসারকে সার্বিক সার্বিক সহায়তা প্রদান করার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া কমিটিকে সপ্তাহে অন্তত একটি সভা অনুষ্ঠান করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়া বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কমকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. মুজিবুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচনি ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সহকারী রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি এবং বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়েছে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৯ম অধ্যায়ে বর্ণিত নির্বাচনি ব্যয় সংক্রান্ত বিধি বিধান প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও তাদের সংশ্লিষ্টরা প্রতিপালন করছেন কিনা তা মনিটরিং এর জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিলকৃত সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব বিবরণীর সাথে মিল রেখে ব্যয় করছেন কিনা তা মনিটরিং করা, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ৪৯ অনুসারে মেয়র ও কাউন্সিলর পদের প্রার্থীগণ নির্বাচনি ব্যয়ের সীমা যথযথভাবে অনুসরণ করছেন কিনা তা মনিটরিং, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যগণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৯ম অধ্যায়ে বর্ণিত নিবাচনি ব্যয়ক্রান্ত বিধি বিধান প্রতিপালন করছেন কিনা তা মনিটরিং করবে। পাশাপাশি এই কমিটি প্রতি দু’দিন অন্তরান্তর প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, সচিব সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রতিবেদন প্রেরনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।