আমরণ অনশনে যাচ্ছে শেবাচিমের কর্মচারীরা আমরণ অনশনে যাচ্ছে শেবাচিমের কর্মচারীরা - ajkerparibartan.com
আমরণ অনশনে যাচ্ছে শেবাচিমের কর্মচারীরা

6:06 pm , June 25, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বেতন-ভাতার দাবীতে আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষনা করেছে শেবাচিম হাসপাতালে সদ্য যোগদান করা কর্মচারীরা। আগামী ১ জুলাই রোববার থেকে পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে এই অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করবে তারা। এর আগে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত ২১২ জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি’র কর্মচারীদের প্রাপ্ত বেতন-ভাতা পরিষোধের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার পূর্ব ঘোষিত এক ঘন্টা কর্মবিরতী, বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন শেষে আল্টিমেটাম ও অনশণ কর্মসূচি ঘোষনা করে বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেনী সরকারি কর্মচারী সমিতি শেবাচিম শাখার নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে একাত্বতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি বরিশাল জেলা’র নেতৃবৃন্দ।

এর আগে বেলা ১১ টায় শেবাচিম হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী কল্যান সমিতির কার্যলয়ে মোঃ মোদাচ্ছের কবিরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সামাবেশ বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর শেবাচিম হাসপাতালের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর বিভিন্ন পদে ২১৫ জন কর্মচারী যোগদান করে। ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারী স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় কর্মচারীদের কার্যক্রম স্থগীত রাখার নির্দেশ প্রদান করলে কর্মচারীরা উচ্চাদালতের রীট মামলা দাখিল করে। একই বছরের ২২ আগষ্ট উচ্চাদালত কর্মচারীদের পক্ষে রায় দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রীম কোর্টে আপীল করলে আদালত পূর্বের আদেশ বহাল রেখে ওই আপীলটিও খারিজ করে দেয়। সর্বশেষে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী সুপ্রীম কোর্টের দেয়া রায়টি বাস্তবায়নের জন্য শেবাচিম পরিচালককে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। অবশ্য ওই আদেশে যাচাই বাচাই শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশও দেয়া হয় পরিচালকে। কিন্তু কোন প্রকার যাচাই বাচাই ছাড়াই চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারী কর্মচারীদের যোগদান নেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আবদুল কাদির। এমনকি তাদেরকে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করার অনুমতী দেন।

এদিকে সদ্য যোগদানকারী ২১২ জন কর্মচারীকে গত ৪ এপ্রিল বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। সে অনুযায়ী এরই মধ্যে বেতন-ভাতা প্রদানের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু বেতন-ভাতা প্রাপ্তির শেষ পর্যায়ে এসে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের সকল প্রক্রিয়া রহস্যজনক কারনে বন্ধ করে দেন বর্তমান পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। এর ফলে কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করেও বেতন-ভাতা থেকে বঞ্ছিত থাকা ২১২ কর্মচারী পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

এদিকে সমাবেশ শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় সর্বস্তরের কর্মচারীরা পরিচালকের কার্যলয়ের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে। পাশাপাশি আন্দোলনকারী কর্মচারীদের তোপের মুখে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সদ্য যোগদানকারী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি’র কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের আশ্বাস দেন পরিচালক। আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করলেও আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত পরিচালককে আল্টিমেটাম ছুড়ে দেয় কর্মচারীরা। ওই তারিখের মধ্যে বেতন-ভাতা না পেলে ১ জুলাই থেকে কর্মবিরতি দিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে কর্মচারীরা হাসপাতালের বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করে আসছেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাদের বেতন ভাতা প্রদান করা হয় নি। সর্বশেষ কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য মতামত চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির প্রতিউত্তর পেলে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT