6:00 pm , June 24, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীতে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। পাইকারী বাজারে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। খুচরা বাজারে এই বৃদ্ধির হার সাধারন মানুষের কাছে অসহনীয় হয়ে উঠেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এভাবে চালের দাম বৃদ্ধির কারন হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চাল আমদানীতে ভ্যাট বৃদ্ধির কারনে ঈদের আগে দাম বেড়েছে।
চালের জন্য প্রসিদ্ধ নগরীর ফরিয়াপট্টি চালের আড়তের ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহ আগে বুলেট প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে তা ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ভারতীয় স্বর্না কেজি প্রতি ৩৬ টাকার স্থলে ৪২ টাকা, আঠাশ বালাম ৩৮ টাকার স্থলে ৪৪ টাকা, মিনিকেট ৪৯ টাকার স্থলে ৫৩ টাকা, আমন ৪৩ টাকার পরিবর্তে ৪৬ টাকা এবং রতœা ৩৬ টাকার স্থলে ৪০ টাকা কেজি প্রতি এখন বিক্রি হচ্ছে। চাল ব্যবসায়ী শেখ মাসুদ রানা বলেন, ঈদের আগে বিভিন্নভাবে সরকারের খাদ্য সহায়তা চলমান ছিল। কিন্তু তা এখন বন্ধ। তাছাড়া বাজেটে আমদানীকৃত চালে ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসব কারনে চালের দাম গত কয়েক দিনে ৭৫ পয়সা বেড়েছে। তিনি জানান, আগামী মাসের শুরু থেকে চালের দাম আরও বাড়তে পারে। নগরীর ফড়িয়াপট্টি চাউল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক ফারুক আলম বলেন, সরকার আমদানীকৃত চালে ২৮ ভাগ ভ্যাট বাড়িয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। দাম সব ধরনের চালেই অল্প কিছু বেড়েছে। তিনি বলেন, তারা পাইকারী হিসেবে পঞ্চাশ পয়সা হয়তো বাড়িয়েছেন। কিন্তু খুচরা দোকানীরা আরও বেশি রাখছে। যার প্রভাব পড়ছে গরীব মানুষের উপর
তবে খুচরো বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর অলি গলিতে সাধারন ক্রেতাদের আরও বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। বটতলা বাজারে চাল কিনতে আসা আঃ মজিদ নামেক এক রিকশাওয়ালা জানান, তার পরিবারে দৈনিক ৩ কেচি চাল দরকার। এ অবস্থায় চালের খরচ আড়ের চেয়ে দৈনিক ১৫ থেকে ২০ টাকা লাগছে।
এ ব্যাপারে কনজিউমার এ্যাসোসিশেয়ন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) এর বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত বলেন, চালের দাম হঠাৎ বাড়ার অন্যতম কারণ সরকারের মনিটরিং না থাকা। এজন্য সাধারন মানুষের ক্ষতি হয়। ক্যাব মনে করে প্রশাসনের এ বিষয়ে নজর দেয়া দরকার।