5:55 pm , June 24, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মেহেন্দিগঞ্জের সাবেক ইউপি সদস্য সঞ্জয় চন্দ্রকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে বরিশাল ৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) পঙ্কজ নাথ সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বরিশাল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কাজীরহাটের বিদ্যানন্দপুরের ৫নং পূর্ব রতনপুরের সাবেক ইউপি সদস্য সঞ্জয় চন্দ্র বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক গোলাম ফারুক মামলাটি আমলে নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জের সার্কেল এসপিকে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, চরহোগলা এলাকার জাকির হোসেনের পুত্র আমু, হারুন বেপারীর ছেলে সোহাগ বেপারী, হারুন খন্দকারের ছেলে রিমন খন্দকার সহ অজ্ঞাত আরও তিন জন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, সঞ্জয় চন্দ্র এমপি পঙ্কজ নাথের ছোট ভাই ও তার স্ত্রীসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা দায়ের করেন। এতে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী সঞ্জয়কে বিভিন্ন সময় খুন ও গুমের হুমকি দিয়ে আসছে। এই ঘটনায় সঞ্জয় চন্দ্র বাদী হয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং এমপি ১৪০/১৭ (কাজীরহাট)। এতে এমপি পঙ্কজ নাথ আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১২ জুন রাত ১১ টায় আসামী আমু, সোহাগ বেপারী, রিমনসহ তিন চার জনকে তাকে (সঞ্জয়) নিতে পাঠায়। সঞ্জয় না যেতে চাইলে জোর করে মেহেন্দিগঞ্জ ডাক বাংলোকে নিয়ে যায়। সেখানে এমপি পঙ্কজ নাথ সঞ্জয়কে বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তীতে সঞ্জয়কে মামলার আসামীরা এলোপাথারি মারধর করে। পরে আসামীরা রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মাসকাটা নদীতে ফেলে দেয় সঞ্জয়কে। এরপরে অন্যান্য সাক্ষীরা বাদীকে খোঁজাখুজি করে নদীর কূলে খুঁজে পায়। পরের দিন বাদীকে মেহেন্দিগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হলে আসামীরা যেতে বাঁধা দেয়। বিষয়টি বরিশালের পুলিশ সুপারকে জানানো হলে তিনি কাজীরহাট থানার ওসিকে সঞ্জয়ের চিকিৎসার ব্যাপারে সহযোগীতা করার জন্য নির্দেশ দেন। এরপরে পুলিশের সহযোগীতায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে গত ১৭ জুন ভর্তি হয় সঞ্জয়। কিছুটা সুস্থ্য হয়ে তিনি আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন।