ঝুঁকি নিয়ে কর্মমুখী যাত্রীদের নৌযানে যাত্রা ঝুঁকি নিয়ে কর্মমুখী যাত্রীদের নৌযানে যাত্রা - ajkerparibartan.com
ঝুঁকি নিয়ে কর্মমুখী যাত্রীদের নৌযানে যাত্রা

6:57 pm , June 23, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আষাঢ়ের অস্বস্তিকর টানা তাপদহের পরে দ্বিতীয় বর্ষণে গতকাল দক্ষিণাঞ্চলে যথেষ্ট স্বস্তি ফিরে এলেও সুস্থ জনজীবনে কিছুটা অচলাবস্থাও সৃষ্টি হয়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ প্রায় ৩৬ ডিগ্রী থেকে গতকাল ২৮ ডিগ্রীর নিচে নেমে এসেছে। অথচ গতকাল সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.২ ডিগ্রী। আকাশ কালো করা মেঘ নিয়ে গতকাল সকালের সূচনা হলেও ১০টার পরেই হালকা থেকে মাঝারী বর্ষন দুপুর পর্যন্তই অব্যাহত ছিল। ঈদের পরে গতকালই দক্ষিণাঞ্চলে শিশুদের বেশীরভাগ স্কুলগুলো খুললেও এই বৃষ্টি অভিভাবকদেরও কিছুটা বিড়ম্বনায় ফেলে। পাশাপাশি ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমুখী জনস্রোতে গতকালই ছিল সর্বাধিক ভীড়। বরিশাল নদী বন্দর সহ দক্ষিণাঞ্চলের অর্ধ শতাধিক নৌ টার্মিনাল ও লঞ্চঘাট থেকে রাজধানীমুখী শতাধিক নৌযানে তিল ধরারও ঠাঁই ছিলনা। বিরূপ আবহাওয়ায়ও সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে নৌযানগুলো ধারন ক্ষমতার প্রায় তিনগুন যাত্রী নিয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্যেশ্যে মেঘনা পাড়ি দিয়েছে। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। গতকাল দুপুর ৩টা পর্যন্ত বরিশালের প্রায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বর্ষা মাথায় নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এবার সঠিক সময়ে দেশে বিস্তার লাভ করলেও তা দূর্বল হয়ে পড়ায় ভড়া আষাঢ়েও এতদিন বৃষ্টির দেখা মিলছিল না।

এর আগে গত ১৯জুন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সাময়িকভাবে কিছুটা সক্রিয় হয়ে ওঠায় বরিশালে ৪৫ মিলিমিটার এবং ভোলাতে প্রায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও তার পর থেকে প্রচন্ড রোদের সাথে তাপমাত্রার পারদও ক্রমে ওপরে উঠতে থাকে। তবে গতকাল সকাল থেকে এ বর্ষণ স্বাভাবিকভাবেই জনজীবনে স্বস্তি দেয়া সহ কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। এবার তাপদহের সাথে নির্ধারিত বর্ষা বিলম্বিত হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে আউশের আবাদ এখনো কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগের মতে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় ও অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারী থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। ফলে দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকূলভাগ জুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকারই সম্ভবনা রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ থেকে আজ সকালের পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় উপকূলভাগ সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বজ্র বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধির সম্ভবনার কথাই বলা হয়েছে।

গতকাল সকাল ৬টায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রী বেশী। তবে বেলা ১০ টার পরে আকাশ কালো করা মেঘের সাথে মাঝারী থেকে ভারী বর্ষনে জীবন যাত্রায় কিছুটা ছন্দ পতন ঘটলেও স্বস্তিও ফিরে আসে।

আবহাওয়া বিভাগ থেকে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম বঙ্গ এলাকায় অবস্থানের কথা জানিয়ে বরিশাল সহ উপকূলীয় এলাকায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া এবং বিজলী চমকানো হালকা থেকে মাঝারী বর্ষনের কথা বলা হয়েছে। সে সাথে দেশের কোন কোন এলাকায় মাঝারী থেকে ভারী এবং ভারী বর্ষনও হতে পারে বলে জানান হয়েছে। এমনকি দক্ষিণাঞ্চল সহ সারা দেশেই তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT