7:00 pm , June 22, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর কাউনিয়ায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধি’র ধর্ষক ও জন্ম দেয়া সন্তানের পিতার পরিচয় মেলেছে। ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) পরীক্ষায় মাধ্যমে পরিচয় মিলেছে। এই পরীক্ষার প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে মামলার চার্জশীট (অভিযোগ পত্র) আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় চিহিৃত ধর্ষক ও জন্ম নেয়া শিশু কন্যা ‘সপ্তর্ষী’র বাবা হলো- কাউনিয়া প্রধান সড়কের খ্রিষ্টান কলোনীর প্রয়াত পরেশ বাড়ৈর ছেলে মিঠুন বাড়ৈ।
গত বছরের জানুয়ারী মাসে ধর্ষণের শিকার হন নগরীর কাউনিয়া প্রথম গলি এলাকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি যুবতী ধর্ষনের শিকার হয়। এতে সে অন্ত.সত্তা হওয়ার পর ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা যুবতীয় বাবা বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় মামলা করে। ধর্ষিত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি যুবতী ধর্ষকের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি। তাই পুলিশ মামলার আসামী হিসেবে সন্দেহজনকভাবে মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে মামলার পর বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ধর্ষনে অন্ত.সত্তা যুবতীকে গর্ভের সন্তানের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আদালতের অনুমতি নিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সেইফ হোমে রাখা হয়। সেখানে ওই যুবতী কন্যা সন্তান’র জন্ম দেয়। মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার এসএম রুহুল আমিন জন্ম নেয়া কন্যা সন্তানের নাম রাখেন ‘সপ্তর্ষী’। পরে তার উদ্যোগে সপ্তর্ষী’র ও মিঠুনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় সপ্তর্ষী’র সাথে মিঠুনের ডিএনএ মিলে যায়। তাই সপ্তর্ষী’র জন্মদাতা বাবা মিঠুন। তার ধর্ষনে বাক প্রতিবন্ধি যুবতী অন্ত.সত্তা হয়ে কন্যা সপ্তর্ষী জন্ম নিয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার এসআই আবু হানিফ মামলার প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন আদালতে। সেখানে মিঠুনকে একমাত্র অভিযুক্ত করা হয়েছে।