6:49 pm , June 21, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমুখী জনস্রোতে পা ফেলার ঠাই নেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদী বন্দর সহ দক্ষিণাঞ্চলের নৌ টার্মিনাল ও স্টেশনগুলোতে। গতকালও বরিশাল নদী বন্দর থেকে বেসরকারি ১২টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ছাড়াও ২টি ক্যাটামেরন ও রাষ্ট্রীয় নৌ-বানিজ্য প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত রকেট স্টিমার এবং বিশেষ সার্ভিসের একটি নৌযান পিরোজপুর-ঝালকাঠী ও বরিশাল হয়ে ঢাকা-চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। তিল ধরার ঠাঁই ছিলনা কোন নৌযানেই। একই অবস্থা সড়ক ও আকাশ পথেও।
গত মঙ্গলবার থেকেই দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমুখী মানুষের চলাচল শুরু হলেও বুধবার থেকেই মূল স্রোতে শুরু হয়। গতকালই ঈদ পরবর্তী সর্বোচ্চ সংখ্যক যাত্রী বরিশাল বন্দর থেকে ঢাকা ছাড়াও চাঁদপুর হয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ফেরত গেছে। শুধুমাত্র বরিশাল নদী বন্দর থেকেই গতকাল প্রায় ৫৫ হাজার যাত্রী বিভিন্ন নৌযানে করে ঢাকায় গেছে বলে জানা গেছে। বিশালাকারের ১২টি যাত্রীবাহী নৌযানেই অন্তত ৪৮ হাজার যাত্রী আরোহন করে। এসব নৌযানই ধারণ ক্ষমতার তিনগুনেরও বেশী যাত্রী বহন করছে।
প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনী বরিশাল নৌ টার্মিনালে গত কয়েকদিন ধরে নজরদারী করলেও কর্মস্থলমুখী জনস্রোতের চাপের কাছে সকলেই অনেকটা কিংকর্তব্যবিমুঢ়। গতকাল দপুরের আগে থেকেই টার্মিনালে থাকা ১২টি নৌযানের ডেকগুলো যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে যায়। সন্ধ্যার আগেই কেবিন যাত্রীরা তাদের আসন গ্রহন করে। ফলে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে এসব নৌযান ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবার কথা থাকলেও যাত্রীদের চাপে নির্ধারিত সময়ের আগেই বরিশাল বন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
বিআইডব্লিউটিএ এবং আইডব্লিউটিসি’র দায়িত্বশীল সূত্রের মতে আজ (শুক্রবার) ঈদ পরবর্তী সর্বাধিক সংখ্যক মানুষ কর্মস্থলে ফিরবে। আগামীকালও (শনিবার) ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমুখী মূল জনস্রোতে অব্যাহত থাকলেও ৩০ জুন পর্যন্তই নৌ ও সড়ক পথে বাড়তি যাত্রীর চাপ থাকবে বলে মনে করছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। বিআইডব্লিউটিসি আগামী রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চল থেকে তাদের বিশেষ সার্ভিস পরিচালন-এর কথা জানিয়েছে।
বরিশাল-ঢাকা আকাশ পথে ঈদের আগে রাষ্ট্রীয় বিমান-একটি বিশেষ ফ্লাইটি পরিচালনা করলেও ঈদের পরে আর সে দায়িত্ব পালন করেনি। তবে বেসরকারি ইউএস-বাংলা ঈদের আগে ও পড়ে নিয়মিত ফ্লাইটের অতিরিক্ত বিশেষ উড়ানগুলো পূর্ণ লোড নিয়েই চালাচল করছে। ভাড়াও আদায় করছে প্রায় তিনগুন। সড়ক পথেও বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানী ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে জনস্রোতে অব্যাহত রয়েছে।