6:47 pm , June 20, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কারাগার অভ্যন্তরে মোটর সাইকেল রাখা নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই যুবককে পিটিয়ে আহত করে পুলিশে সোপর্দ করেছে কারারক্ষীরা। এছাড়াও দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার দুপুরে। এ ঘটনায় করা মামলার অসামী হিসেবে গতকাল বুধবার উভয়কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ওই দুই যুবক হলো- কাউনিয়া কাঠেরপুল এলাকার বাসিন্দা মানিকের ছেলে আতিকুর রহমান আরিফ ও কাউনিয়া মনষা বাড়ি এলাকার নুর আলমের ছেলে মেহেদী হাসান সম্রাট।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৯ জুন দুপুরে মটর সাইকেল নিয়ে কারাভ্যন্তরে প্রবেশ করার চেষ্টা চালায় আরিফ। এ সময় গেটে দায়িত্বরত কারারক্ষি শহিদুল ইসলাম তাকে বাধা দেয়। সে বাধা উপেক্ষা করে ভিতরে মটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশের জন্য চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবতিন্ডা হয়। এক পর্যায় আরিফ ওই কারারক্ষিকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষন পরেই আরিফ তার সহযোগী সম্রাটসহ আরো ২/৩ জনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে কারারক্ষি শহিদুলের উপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধরের পাশাপাশি তাকে বাইরে বের করে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় অন্যান্য কারারক্ষীরা ছুটে এলে আরিফের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। তবে কারারক্ষিদের সাথে ধস্তাধস্তিতে পরে গিয়ে আহত হয় আরিফ ও তার সহযোগী সম্রাট। পরে আরিফ ও সম্রাটকে তুলে দেয়া হয় কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের হাতে।
অপরদিকে, মামলাটি হয়রানি মুলক দাবি করেন আহত আরিফ ও সম্রাটের স্বজনরা জানান, আরিফ ও সম্রাট কারাগার মসজিদের জোহরের নামাজ আদায় করার জন্য মটরসাইকেল নিয়ে মসজিদ পর্যন্ত যেতে চায়। এতে কারারক্ষী শহিদুলসহ অন্যান্যরা বাধা দেয়। নামাজ শেষেই মটর সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বললেই কারারক্ষীরা অশালিন ব্যবহার শুরু করে। এর এক পর্যায় আরিফ ও সম্রাটকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। এরপর টেনে হিচড়ে কারাগারের সামনের কক্ষে আটকে রাখে। খবর পেয়ে আরিফ ও সম্রাটের স্বজনরা কেন্দ্রিয় কারাগারে ছুটে যান। সেখানে মিমাংসার কথা বলে তাদের সন্ধ্যা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়। পরে কোন ধরনের মিমাংসা না করেই উল্টো তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও কারারক্ষীদের উপর হামলার অভিযোগে মামলা করা হয়। তারা আরো জানান, সিসি টিভি ফুটেজের কথা কারা কতৃপক্ষকে জানিয়ে সু-বিচারের দাবি জানানো হয়েছিলো। তাই এ ঘটনায় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই আরিফ ও সম্রাটের বিরুদ্ধে এ হয়রানী মুলক অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় কারারক্ষী শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে সরকারী কাজে বাধা প্রদান এবং কারারক্ষীদের মারধরের অভিযোগে এনে করা মামলার আসামী হিসেবে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে আহত অবস্থায় হাজির করা ওই দুই যুবককে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমান তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সিনিয়র জেল সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।