6:32 pm , April 22, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রেমিক পুলিশ কর্মকর্তার প্রতারনার শিকার বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী অদিতী হালদার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। বিয়ের প্রলোভনে অনৈতিক সম্পর্ক করে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় গত শুক্রবার রাতে কলেজের হলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। বর্তমানে ওই ছাত্রী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বরগুনার মেয়ে অদিতী বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের মাষ্টার্স এর ছাত্রী। এছাড়া তার প্রতারক প্রেমিকের নাম এসআই সঞ্জয়। তিনি নৌ পুলিশে কর্মরত এবং বরগুনার কাকচিড়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ। অবশ্য ঘটনাটিকে ভুল বোঝাবুঝি বলে দাবী করেছেন কাকচিড়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ সঞ্জয়।
কলেজ ছাত্রী’র স্বজনরা জানায়, এসআই সঞ্জয় এর সাথে অদিতীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ের কথা হয়। এমনকি ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী অদিতী ও সঞ্জয়’র আর্শিবাদ এবং আংটি বদল হয়েছে।
স্বজনরা অভিযোগ করেন, আর্শিবাদের পরে প্রায়শই সঞ্জয় অদিতীর সাথে যোগাযোগ করে। অদিতি লেখাপড়ার সুবাধে বরিশালে থাকায় সঞ্জয় এসে তার সাথে দেখা করতো। এমনকি একাধিকবার তারা আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করেছে। সঞ্জিবকে দ্রুত বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিভিন্ন ভাবে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে। একপর্যায় এসআই সঞ্জিব তাকে বিয়ে করতে অপরাগতা প্রকাশ করে। আর তাই গত শুক্রবার রাতে সঞ্জিব এর সাথে মুঠোফোনে কথা শেষ করে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অদিতী। পরে হোস্টেলের অন্যান্য ছাত্রী এবং হোস্টেল কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চিকিৎসার পাশাপাশি আইনি সহায়তা প্রদান শেষে ওসিসিতে প্রেরন করা হয়।
ছাত্রীর পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি সমাধানের জন্য ওসি কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে। ছাত্রীর পরিবার দাবী করছে এই মুহুর্তে সঞ্জিব অদিতীকে বিয়ে করবে। আর তা আদালতের মাধ্যমে। যাতে করে এসআই সঞ্জিব পরবর্তীতে কোন ঝামেলায় জড়াতে না পারে। কিন্তু মেয়ের পরিবারের সেই দাবী মানতে নারাজ এসআই সঞ্জিব। সে বিয়েতে রাজি হলেও কোর্ট ম্যারেজের বিষয়ে দিমন প্রকাশ করছে। এ বিষয়ে আজ সোমবার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নৌ পুলিশের পুয়াখালী জোনের কাকচিড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিব বলেন, পারিবারিক ভাবেই আমাদের বিয়ের কথা চলছে। আমি ওকে স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলার জন্য আংটিও পড়িয়েছি। পারিবারিক ভাবে একটু ভুল বোঝাবুঝির কারনে অদীতি আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী করেছেন এসআই সঞ্জিব।