অতিরিক্ত মুল্য নেয়ায় নগরীর তৈরি পোশাক বিক্রিকারী দোকান থেকে জরিমানা আদায়  অতিরিক্ত মুল্য নেয়ায় নগরীর তৈরি পোশাক বিক্রিকারী দোকান থেকে জরিমানা আদায়  - ajkerparibartan.com
অতিরিক্ত মুল্য নেয়ায় নগরীর তৈরি পোশাক বিক্রিকারী দোকান থেকে জরিমানা আদায় 

6:42 pm , June 12, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঢাকার ইসলামপুর বা বিভিন্ন মার্কেট থেকে ১২শ টাকার ক্রয়কৃত পোষাক নগরীতে আলো জলমলে বিপনী বিতানে বিক্রি হচ্ছে ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা। একই ভাবে ৪ হাজার ৩শ টাকায় ক্রয়কৃত পোষাক বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার ৭শ টাকা দরে। গতকাল মঙ্গলবার নগরীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এই তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। ক্রেতাদের দাবী রেডিমেট পোশাক বিপনী বিতানগুলোতে একদরের নামে গলাকাটা দাম রাখার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ঈদসহ যেকোন উৎসবকে কেন্দ্র করে বিপনী বিতানগুলোতে বেপরোয়া বানিজ্য করার অভিযোগও রয়েছে। দুই বছর আগে রমজান মাসে জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে প্রথমবারের মতো বিপনী বিতানগুলোতে অভিযান চালিয়ে ক্যাশম্যামো যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, পাইকারী বাজার থেকে যে দামে পোশাক কেনা হয়েছে তার ™ি^গুন থেকে তিনগুন বেশী দাম লিখে বিপনী বিতানগুলোতে একদামে বিক্রি করা হচ্ছে। গতবছর প্রশাসন থেকে কোন অভিযান চালানো হয়নি। এবার ঈদ উৎসব উপলক্ষে প্রথমবারের মতো জেলা প্রশাসন অভিযান করে। কিন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকরা পাইকারী বাজার থেকে পোশাক ক্রয়ের ক্যাশম্যামো দেখাতে নানান ছলচাতুরী করেন। ক্যাশ মেমো দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় নগরীর হেমায়েত উদ্দিন সড়কের ‘বৈশাখী’ নামক একটি বিপনী বিতান মালিককে ১০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রেজওয়ানা কবিরের নেতৃত্বে গতকাল বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত হেমায়েত উদ্দিন সড়ক ও অভিজাত শপিং মল ‘ফাতেমা সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। রেডিমেট পোশাক বিক্রির প্রতিষ্ঠান ‘বৈশাখী’তে মেয়েদের একটি গাউনের দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ টাকা। জেলা প্রশাসনের অভিযানকারী দলের ওই পোশাকটি সহ আরও কয়েক পোশাকের পাইকারী বাজারের ক্রয়মূল্য দেখতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটিতে দায়িত্বরতরা দেখাতে ব্যর্থ হন। তারা দাবী করেন, ওই ক্যাশম্যামো ঢাকায় অবস্থানকারী তাদের মালিকের কাছে আছে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা কবির ওই প্রতিষ্ঠানটিতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই অবস্থা হেমায়েত উদ্দিন সড়কে ‘নেক্সট প্লাস’ নামক প্রতিষ্ঠানটিতে। সেখানে একটি গেঞ্জির বিক্রিমূল্য লেখা আছে ১৩ হাজার ৫০০টাকা। কিন্ত ক্রয়ের করার সঠিক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন প্রতিষ্ঠানটির মালিক রতন চৌধুরী। তিনি ক্যাশ মেমো উপস্থ’াপন করেন সেগুলোর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ পোষন করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ফাতেমা সেন্টারের অভিজাত প্রতিষ্ঠান ‘চন্দ্রবিন্দু’ ‘রিচম্যান’ ও ‘ইনফিনিটি’ নামক প্রতিষ্ঠানগুলোতে গেলে তারা দাবী করেন এ প্রতিষ্ঠানগুলো ঢাকা থেকে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের শাখা। একইভাবে কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ‘ইজি’। তারা জানিয়েছে ক্যাশ মেমোসহ যাবতীয় কাগজপত্র ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে আছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা কবির পরে জানান, প্রশাসনের নির্দেশ আছে পোশাক বিক্রির প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩০ ভাগের বেশী মুনাফা করা যাবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT