জেল খাল সংস্কারে মাষ্টার প্লান গ্রহণ জেল খাল সংস্কারে মাষ্টার প্লান গ্রহণ - ajkerparibartan.com
জেল খাল সংস্কারে মাষ্টার প্লান গ্রহণ

6:41 pm , June 12, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জেল খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খালটির প্রান ফেরাতে সোয়া ৩ কিলোমিটার জুড়ে নকশা করছে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর। নকশা অনুযায়ী খালের দুই পাড়ে ১০ ফুট করে ওয়াকওয়ে, বৃক্ষরোপন, পার্কসহ নানা ধরনের সৌন্দর্য্যবর্ধন কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসময় খাল উদ্ধার ও সৌন্দর্য্যবর্ধনে রেড জোন করার জন্য নোটিশ প্রদানের দাবী জানানো হয়। সভায় নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিনিয়র প্ল্যানার আসাদুজ্জামান বলেন, নগরীর নথুল্লাবাদ থেকে কীতর্নখোলা নদী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার জেল খাল সংস্কারে একটি নকশা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। ‘এ্যাকশন প্লান পল ডিজাইনিং জেল খাল রিক্রিয়েশনাল সাইট’ শীর্ষক গবেষনায় তারা নগরীর সাধারন মানুষ, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসনসসহ সব পর্যায়ের ব্যক্তিদের মতামত গ্রহন করা হচ্ছে। তাদের এ নকশায় জেল খালের দুই পাড়ে সৌন্দর্য্যবর্ধনের জন্য নকশা করা হচ্ছে। এই নকশায় খালের উভয় পাশে ওয়াকওয়ে, বৃক্ষরোপন, ঘাটলা, বসার স্থান, ওয়াইফাইজোন, পার্ক, স্টেশন থাকবে। তাদের জরিপ মতে, খালের দুই পাশে প্রায় ৯০টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। খালের চিত্র ফিরিয়ে আনতে হলে এগুলো অপসারন করতে হবে। সভায় সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক গাজী জাহিদ হোসেন বলেন, জেল খাল দখলমুক্ত করে এর সৌন্দর্য্যবর্ধন করতে হলে সতর্ক হতে হবে। যাতে সাধারন মানুষের ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর থাকতে হবে। কাউন্সিলর গাজী আক্তারুজ্জামান হিরু বলেন, জেল খালের দুই পাড়ে ১০ ফিট করে জমি উদ্ধার করতে হবে। উন্নয়ন সংগঠক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, খালে পানি চলাচল সৃস্টি করতে হলে রসুলপুর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর অংশ উন্মুক্ত করে দিতে হবে। খাল উদ্ধারে দ্রুত দুই পাড়ে রেড জোন করার জন্য অবৈধ দখলদারদের নোটিশ দিতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরেফিন বাদল বলেন, জেল খাল উদ্ধারে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। তবে এই নকশা যাতে পরিবেশ সম্মত হয় তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। জেলা প্রশাসনের আরডিসি বিপুল চন্দ্র বলেন, কোন প্রকল্পই শতভাগ সফল হয় না। জেল খালের এই প্রকল্পও বাস্তবায়ন করতে হলে এটি অতি সাধারন ও ছোট আকারে করতে হবে। তিনি বলেন, খালের পাশের জমি অধিগ্রহনের চেস্টা করলে মামলার ফাঁদে পড়ে সব ভেস্তে যাবে। তার চেয়ে রেকর্ড অনুযায়ী খাল যেটুকো আছে সেটুকো দখলের চেস্টা করা হবে। তিনি বলেন, খাল যেহেতু আছে সেহেতু এর পারও আছে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিসিসির প্রধান পরিকল্পনাবিদ হৈমন্তী সুক্লা বসু, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্লানার মো: বায়জীদ, আর্কিটেক্ট শিবু প্রসাদ বসু প্রমুখ।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT