শিশুদের ঈদ কেনাকাটায় দাম বেশি হওয়ায় হতাশ অভিভাবকরা শিশুদের ঈদ কেনাকাটায় দাম বেশি হওয়ায় হতাশ অভিভাবকরা - ajkerparibartan.com
শিশুদের ঈদ কেনাকাটায় দাম বেশি হওয়ায় হতাশ অভিভাবকরা

6:38 pm , June 9, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঈদ সামনে রেখে জমজমাট কেনা কাটায় অভিভাবকদের হাত ধরে আনন্দে সময় কাটাচ্ছে শিশুরা। ঈদ মৌসুমে বাজার জমে ওঠার শুরু থেকেই জমে আছে শিশুদের পোষাকের বাজার। গরমের কথা মাথায় রেখে শিশুদের জন্য সুতির পোশাককেই প্রধান্য দিচ্ছেন অভিভাবকরা। তবে নকশায় ভিন্নতা না থাকা আর পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় হতাশ তারা। বিক্রেতাদের দাবি, আমদানি করা পণ্যের শুল্ক বেশি আর নানান খরচের কারণে দাম কিছুটা বেশি। ঈদ মানেই আনন্দ। কিন্তু শিশুদের কাছে সেই আনন্দ যেনো ধরা দেয় একটু বেশি বর্ণিল হয়ে। নতুন পোষাকে রঙিন আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে শিশুদের মাঝে। তাই ঈদের কেনাকাটায়ও তাদের আবদারের যেনো শেষ নেই। চলতি ধারা আর বাহারি নকশায় আদরের সন্তানের ঈদের জামাটা হবে সবার সেরা, তাইতো এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটে চলা অভিভাবকদের। তবে রুচিশীল ডিজাইন আর মানের সাথে দামের তারতম্য থাকায় হতাশ ক্রেতারা। গরমে শিশুদের স্বাচ্ছন্দ বিবেচনায় রেখে সুতি কাপড়ের বিভিন্ন ডিজাইনের বাহারি পণ্য নিয়ে এসেছে নগরীর শিশুদের পোষাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে আমদানি করা পণ্যের শুল্ক বাড়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি তাদের। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে জুতা বা স্যান্ডেল না কিনলে যেন পূর্ণতাই পায়না ঈদের আমেজে। তাই শিশুদের জন্য নানা ডিজাইনের আরামদায়ক জুতা ও স্যান্ডেল দেখা গেছে নগরীর বিভিন্ন জুতার দোকানে।
বিক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এবার শিশুদের জন্য নানা ধরনের স্টাইলিশ পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। তবে যেহেতু ঈদটা গরমে হচ্ছে তাই সবার আগে আরামের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আরাম পেতে ডিজাইনাররা সুতি কাপড়ের ওপর স্টাইলিশ ফ্রক, টপস, স্কার্ট, টু-পিস প্রভৃতি তৈরি করেছেন। সুতি ফ্রকে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লকপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্ট ইত্যাদি। পাশাপাশি রয়েছে জর্জেট ও নেটের ব্যবহারও। স্টাইলিশ নানা ধরনের স্কার্ট এবার নজড় কাড়বে সবার। শিশুদের পোশাকের এলোমেলো নকশার বদলে এবার চল বেড়েছে সাদাসিধে নকশার। মেয়েশিশুদের পোশাকে বৈচিত্র আনতে ব্যবহার হয়েছে পুঁতি, পাথর, কারচুপি, রিবন, ব্লক, জারদৌসির কাজ। শিশুদের জন্য অ্যালাইন কাট, হাতাকাটা পোশাক ছাড়াও বেড়েছে ঘটি হাতার ফ্রক ও টপসের কালেকশন। নকশার বৈচিত্র আছে ছোটদের পাঞ্জাবিতেও। নগরীর বিভিন্ন দোকানে সুতি ছাড়াও সিল্কের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে। বড়দের মতো ছোটদের পাঞ্জাবিতেও এবার চলছে লম্বা ঝুল এবং পকেটের ব্যবহার। এ সময় শিশুদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী পোশাক হচ্ছে পাতলা টি-শার্ট। টি-শার্টের ডিজাইনে নজর কাড়বে কালারফুল কার্টুন চরিত্র। ফ্যাশন হাউজ এ্যাডটেক্স এর সবত্তাধীকারি তানভির হাসান অনিক বলেন, ‘গরমের কারণে শিশুদের পোশাকে বেশি ব্যবহার হয়েছে ভয়েল, বেক্সি ভয়েল, কটন জর্জেট ইত্যাদি। শিশুর পোশাক আরামদায়ক করতে হাফহাতা, হাতাকাটা, ঘটিহাতা বেশি ব্যবহার হয়েছে। গত বছর লং প্যাটার্ন চললেও এবার চলছে কোয়ার্টার প্যাটার্ন। শিশুদের শার্ট বা ফতুয়ায় প্রধান্য পাচ্ছে হাফহাতা এবং হাতাছাড়া কাট। পাঞ্জাবির সঙ্গে কোটিতে বিভিন্ন নকশা প্রাধান্য পেয়েছে। এই ঈদে শিশুদের জুতা এবং স্যান্ডেলেও এসেছে বৈচিত্র্য বলেন তিনি। শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা এবং স্যান্ডেলে লেস, পুঁথি, চুমকি, স্টোন, ফুল-পাতা, কার্টুন ছবিসহ ব্যবহার করা হয়েছে বাহারি সব উপকরণ। এসব জুতা, স্যান্ডেলে রয়েছে ডরিমন, টম অ্যান্ড জেরি, মিকি মাউসসহ বাহারি সব নামও।
শিশুদের ঈদের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ডিজাইনের মালা, চুড়ি, ঘড়ি, ব্যান্ডসহ নানা কিছু। শিশুদের গহনায় পুঁতি আর কাপড়ের ব্যবহার বেশি করা হয়েছে এবার। ঈদের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ঝোলানো ব্যাগ, বটুয়া ব্যাগ, পার্স প্রভৃতি পাওয়া যাচ্ছে। শিশুর চুল সাজাতে এখন পাওয়া যাচ্ছে নজড়কাড়া ডিজাইনের চুলের ব্যান্ড। ফুল, প্রজাপতি, গুবরে পোকা, কার্টুন, লেসের ফুলসহ হাজারো মজার ডিজাইনের ক্লিপ, পাঞ্চ ক্লিপ, ফোরহেড ব্যান্ড তৈরি হচ্ছে শিশুদের জন্য।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT