শেবাচিমে চাকুরি প্রত্যাশী মুক্তিযোদ্ধা কন্যাকে মারধর শেবাচিমে চাকুরি প্রত্যাশী মুক্তিযোদ্ধা কন্যাকে মারধর - ajkerparibartan.com
শেবাচিমে চাকুরি প্রত্যাশী মুক্তিযোদ্ধা কন্যাকে মারধর

6:36 pm , June 9, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শেবাচিম হাসপাতালে পরিচালকের সামনে মুক্তিযোদ্ধার কণ্যাকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগে এই ঘটনা ঘটে। পরিচালকের নির্দেশে তার পিএ সৈয়দ নান্না ও পরিচালকের গাড়ি চালক সুলতান সহ অন্যান্যরা মিলে ওই মুক্তিযোদ্ধার কণ্যাকে মারধর করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মারধরের শিকার মুক্তিযোদ্ধার কণ্যার নাম নূরুন নাহার। তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলার ভুতেরদীয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রূপচান মাঝির মেয়ে। নূরুন নাহার বেগম অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশ পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে তাকে চাকুরী দেন সাবেক পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন ফারুক। সর্বশেষ চলতি বছর আদালতের নির্দেশে ওই একই সাথে চাকুরী হওয়া ২১২ জন হাসপাতালে স্ব স্ব পদে যোগদান করে। কিন্তু তার চাকুরী হওয়ার পরে যোগদান নেয়নি। নূরুন নাহার নামের পরিবর্তে নুরজাহান নামের একজনকে চাকুরী দেয়।

নুরুন নাহার বলেন, আমার কাগজপত্র নিয়ে ইতিপূর্বে বহুবার পরিচালক এর কাছে গিয়েছি। কিন্তু আমার কাগজপত্র ভুয়া দাবী করে ফিরিয়ে দেয়া হয়। সর্বশেষ গতকাল শনিবার সকালে কাগজপত্র নিয়ে পরিচালক ডা. আব্দুল বাকির এর কাছে যায় সে। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হন। এক পর্যায় আমাকে তার কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার জন্য তার পিএ ও ড্রাইভার সহ অন্যান্যদের নির্দেশ দেয়। এক পর্যায় তারা আমাকের রুমের মধ্যে থেকে টেনে হিচড়ে বাইরে এনে মারধর করে।

নূরুন নাহার আরো অভিযোগ করেন, আমাকে মারধর করে উল্টো থানা পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের হাতে আমাকে তুলে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ বিষয়টি বুঝতে পেরে সন্ধ্যায় ছেড়ে দিয়েছে। নূরুন নাহার বলেন, দুর্নীতি করে আমার চাকুরী অন্যজনকে দিয়েছে। এখন আমাকে পাগল আখ্যায়িত করতে চাচ্ছে। এই ঘটনায় তিনি আদালতের স্মরণাপন্ন হবেন বলেও জানিয়েছেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT