6:22 pm , June 1, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নলছিটি উপজেলায় আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিরোধীয় জমিতে ঘর নির্মানের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিরোধীয় জমি দখল করতে হত্যার হুমকি, ভূয়া ওয়ারিশ সেজে প্রতারনাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে জমির রেকর্ডিয় মালিক পরিবারকে। আর এর সাথে স্থানীয় মেম্বার ও প্রভাবশালী একটি চক্র জড়িত রয়েছে। এ ঘটনায় নলছিটি থানায় একাধিকবার জিডি করেছে ভুক্তোভোগী পরিবার। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার আবারো জিডি করা হয় । জিডি নং-২৬।
জিডি ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার দক্ষিন মগড় এলাকার মৃত ওফাজ উদ্দিন মাঝির পুত্র নজরুল ইসলাম ১৯৮২ একই এলাকায় বাসিন্দা অমূল্য কুমারের কাছ থেকে ৬ একর ৫২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। গত শনিবার বাদল হাওলাদার, রুহুল হাওলাদার, বিমল বিহারী নট্টো, মোতালেব হওলাদার, জসিম হাওলাদারসহ ৬/৭ জন সন্ত্রাসী স্বশস্ত্র অবস্থায় নজরুল ইসলামের জমির মধ্যে প্রবেশ করে তাকে খুন জখমের চেষ্টা করে। নজরুল ইসলাম জানান, ১৯৮৬ সালে অমূল্য কুমার নি.সন্তান অবস্থায় পরলোকে গমন করেন। তখন ওই বাড়িতে বসবাসকারী নিরঞ্জন বিহারী নট্টো নিজেকে অমূল্য কুমারের ছেলে পরিচয় দিয়ে জমি দাবী করেন। সে ভূয়া ওয়ারিশ সনদ নিয়ে মামলা করে হয়রানি শুরু করে। তাই মামলা করার পর নিন্ম আদালত থেকে রায় পেলে তারা উচ্চ আদালতে যায় সে। উচ্চ আদালতে হেরে যাওয়ার পরেও নট্ট’র ঘর উচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা করা হয়। আদালত জমির উপর স্থিতি আদেশ জারী করে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে জোর পূর্বক নিরঞ্জন বিহারী ও তার পুত্র বিমল জমির মধ্যে ঘর নির্মান করার চেষ্টা করে। তখন বাধা দেয়া হলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এছাড়াও নানাভাবে হয়রানি শুরু করে। এদিকে এ ঘটনায় সালিশ বৈঠকে নট্ট জমি ছেড়ে দিতে রাজি হয়। বিনিময়ে তাকে সাড়ে সাত লাখ টাকা দেয়ার সিদ্বান্ত হয়। বিষয়টি মেনে নেয়া হলেও স্থানীয় মেম্বার জসিম, রুহুল, মনির, লিটন, জামাল, মোতালেবসহ আরো কয়েকজন যোগসাজসে ২৬ শতাংশ জমি দাবী করে। এতে রাজি না হলে নিরঞ্জন ও বিমলদের সংখ্যালঘূ পরিবার আখ্যা দিয়ে তাদের সামনে রেখে ২৬ শতাংশ জমি দখল করার চেষ্টা করছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জসিমের ব্যাবহৃত নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে নিরঞ্জন বিহারী নট্ট সম্প্রদায় এবং জমির মূল মালিক অমূল্য কুমার চক্রবর্তী সম্পদায়ের। তবুও ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একাধিক লিখিত পত্র দিয়ে নিশ্চিত করেছেন যে অমূল্য কুমারের কোন সন্তানই ছিলনা।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু সম্পদায়ের ঘর নির্মানে বাধা এমন মিথ্য অপপ্রচার করে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। কুচক্রী মহলটি ঐ বিরোধী পরিবারকে সামনে রেখে ২৬ শতাংশ জমি দখল ও মোটা অংকের চাদার মিশনে রয়েছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র এএসপি মাহমুদ হাসান খান জানান, উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে । উভয়ের কাগজপত্র দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তাই দ্রুত এ বিষয়টি সমাধান করা দরকার। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক হামিদুল হক জানান, ওই জমি নিয়ে বিরোধ স মাধানের জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।